নমস্কার, সনাতন ধর্মের জয়। sanatan sikkha এর ওয়েবসাইটে আরেকটি নতুন পৌরাণিক কহিনীতে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আজকের এই কাহিনীতে আমি kaliya naag দমনের ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করবো। ভগবান shree krishna কিভাবে kaliya naag কে দমন করেন, আর কেনই বা করেন ? সবকিছুই থাকবে এই কাহিনীতে।
ভগবান shree krishna যতগুলি লীলা করেছেন তার মধ্যে kaliya naag দমন হল একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ লীলা। আসলে এই লীলায় তিনি আমাদেরকে জানিয়ে গিয়েছেন যে, আমাদেরকেও কালিয়া দমন করতে হবে। আর আমি একটা কথা বলি যে, একমাত্র ভগবান শ্রী কৃষ্ণই কালিয়া নাগকে দমন করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, কালিয়া নাগ আসলে কে ছিল ? তিনি কি কারো অভিশাপে নাগ হয়েছিলেন ? চলুন জেনে নেই ...
kaliya naag দমন |
kaliya naag আগের জন্মে কে ছিলেন ?
বলে দেই, কালিয়া নাগ আগের জন্মে এক রাজা ছিলেন এবং তিনি এক হংসের অভিশাপে পরের জন্মে নাগ হয়েছিলেন। তাহলে এবার ঘটনাটি বলি, যখন kaliya naag রাজা ছিলেন তখন এক ফুল বাগানে এক বৈষ্ণব তাপস্যা করছিলেন। কিন্তু তার শরীর দিয়ে এতো দুর্গন্ধ ছিল যে, সমস্ত ফুল বাগান দিয়ে সেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় রাজা সেই বৈষ্ণবকে সেই ফুল বাগান থেকে বের করে অন্য কোথাও ফেলে দিয়েছিল। যার ফলে রাজার একদিন পেটের নিচে খুব ব্যাথা উঠেছিল। সেই ব্যাথা কিছুতেই কমছিলো না।
অবশেষে, এক জ্যোতিষি রাজাকে বলেছিলেন যে, যদি তুমি হংসের মাংস খাও তাহলে তোমার ব্যাথা সেরে যাবে। তো রাজার সেনা হংস কে খুজতে গেলো এবং এক হংসের দেখা পেলো। তখন সেনারা বলছিলো যে, এই হংসটিকে এখন মারতে হবে। এই কথা শুনে হংস তখন মানুষের স্বরে কথা বলতে লাগলো। তখন হংসরাজ বললো, কেন ? আমাকে মারবে কেন ? তখন সেনারা বলে, আমাদের রাজার পেটের নিচে ব্যাথা উঠেছে আর যদি কোনো হংসের মাংস খায় তাহলে তার ব্যাথা সেরে যাবে। এই কথা শুনে হংসরাজ বলে, তোমরা আমার চরণ ধুয়া জল তোমাদের রাজাকে পান করতে বলো তাহলে দেখবে রাজার ব্যাথা কমে যাবে। তখন সেনারা সেই হংসের চরণধুয়া জল এনে রাজাকে দিলো এবং তাকে সবকিছু বললো। রাজা তখন সেই জল পান করতে গিয়ে দেখে সেই জলে অনেক নোংরা, পোকা, আর অনেক কীট ছিল। তখন রাজা সেই জল পান না করে মাথায় মুছে ফেললো। তখন রাজার সব ব্যাথা দূর হয়ে গেল। তখন রাজা মনে মনে ভাবতে লাগলো এই জল মাথায় মুছাতেই সব ব্যাথা চলে গেল আর যদি পান করতাম তাহলে কি যে হতো ? রাজা এইরকম কান্ড করার পর সেই হংসরাজ রাজাকে অভিশাপ দিয়েছিলো যে, রাজা তুমি পরের জন্মে kaliya naag হয়ে জন্ম নিবে।
kaliya naag এর মাতা পিতা কে ছিলেন ?
দক্ষ প্রজাপতি নামে এক ঋষি ছিল। তার দুটি কন্যা সন্তান ছিল। একজন হলো দেবী কদ্রু এবং আরেকজন হলো দেবী বিনতা। তারা দুই বোন কশ্যপ মুনিকে বিবাহ করেন। দেবী কদ্রু কশ্যপ মুনির কাছে একশো সন্তানের কামনা করেছিলেন। মুনি তখন বলেছিলেন ঠিক আছে তাই হবে। এইভাবেই দেবী কদ্রু একশোটি সন্তানকে জন্ম দিয়েছিলেন মানে একশোটি নাগকে জন্ম দিয়েছিলেন। সেই একশোটি নাগের মধ্যে একজন ছিল kaliya naag। সুতরাং কালিয়া নাগ হলো কশ্যপ মুনি ও দেবী কদ্রুর সন্তান।
আবার অন্যদিকে দেবী বিনতা তার স্বামী মানে কশ্যপ মুনির কাছে মাত্র দুটি সন্তান চেয়েছিল। এবং বলেছিল তারা যেন দেবী কদরুর সন্তানের থেকে বেশী শক্তিশালী হয়। মুনি তাকেও একই কথা বললো, বেশ তাই হবে। তো দুটি সন্তানের জন্য দুটি ডিম ছিল। কিন্ত সন্তান না হওয়াতে দেবী বিনতা আধৈর্য্য হয়ে পড়ে আর তিনি তারজন্য তিনি একটি ডিমকে ফাটিয়ে দেয়। তখন সেখান থেকে এক সন্তানের জন্ম হয়। যিনি হলেন সূর্য দেবের রথের সারথী। তিনি তখন তার মাকে বললেন যে, মাতা তুমি আমার মতো আমার ভাইকে ফাটিয়ে তার কোনো অঙ্গ খারাপ করে দিয়ো না। তার যখন সময় হবে তখন সে ঠিক জন্ম নিবে। এভাবে অনেক দিন পরে সেখান থেকে গরুড় পাখির জন্ম হয়। যিনি ওই নাগেদের থেকে বেশী শক্তিশালী ছিলেন। সুতরাং kaliya naag এবং গরুড় পাখি দুই বিমতা ভাই ছিল।
kaliya naag কোথায় থাকতো ?
কালিয়া নাগ তো রমণ নামে একটি দ্বীপে থাকতো। কিন্তু গরুড় পাখির সঙ্গে তার শত্রুতা হওয়ার পর কালিয়া নাগ তার ভয়ে রমণ দ্বীপ ছেড়ে তার স্ত্রীদের নিয়ে যমুনা নদীর এক কুন্ডে চলে গিয়েছিল। কারণ সেখানে গরুড় পাখি যেতে পারতো না।
গরুড় পাখি যমুনা নদীর সব মাছ খেয়ে নিত। এই দেখে সৌভরি নামে এক মহর্ষি গরুড়কে মাছ খাওয়ার জন্য বারন করে। কিন্তু তার বারন করা সত্যেও গরুড় পাখি যমুনা নদীর সব মাছ খেয়ে নিত। এই দেখে মহর্ষি সৌভরি অসন্তুষ্ট হয়ে গরুড়কে অভিশাপ দেন যে, তুমি যদি আর কোনোদিনও এই নদীর মাছ খাও তাহলে তখনি তোমার মৃত্যু হয়ে যাবে। তাই তো গরুড় যমুনাতে যেতে পারতো না আর সেই সুযোগে kaliya naag গরুড় পাখির ভয়ে যমুনা নদীর এক কুন্ডে লুকিয়ে ছিল।
kaliya naag এর সাথে গরুড় পাখির শত্রুতা কেন হয়েছিল?
গরুড় পাখির মাতা এবং কালিয়া নাগের মাতা দুই বোন ছিল। তারা দুজনে বিমতা ভাই ছিল। একদিন কালিয়া নাগের মাতা নাগদের বলেছিল যে, একটি সাদা ঘোরাকে তোরা পেঁচিয়ে কালো করে দিবি। ঘোড়ার যেন কোথাও সাদা অংশ না দেখা যায়। এই বলে তিনি তার বোন বিনতাকে ডেকে বলেন ওই যে ঘোরাটি যাচ্ছে ওটা কি রঙের ? তো দেবী বিনতা তো জানেন যে ওখান থেকে একটি সাদা ঘোরা যায়। তাই তিনি বলে যে ওটা সাদা ঘোরা। কিন্তু দেবী কদ্রু যে এক ছলনা করেছিল এটা তো আর দেবী বিনতা জানতো না। তখন দেবী কদ্রু বলেন যে, না ওটা কালো ঘোরা। আসলে ঘোরাটি সাদা ছিল কিন্ত ছলনা করে নাগেরা ওই ঘোরাটিকে পেঁচিয়ে কালো করে দিয়েছিল। যাই হোক এ নিয়ে দুই বোনের মধ্যে একটি শর্ত হয় যে, ঘোরাটি যদি সাদা হয় তাহলে দেবী কদ্রু আজীবন দেবী বিনতার দাসত্বগিরি করবে আর যদি ঘোরাটি কালো হয় তাহলে সারাজীবন দেবী বিনতা দেবী কদ্রু দাসত্বগিরি করবে। যখন ঘোরাটি সামনে আসে তখন দেবী বিনতা দেখে ঘোরাটি তো কালো। এবং তিনি দেবী কদ্রুর কাছে হেরে যায় আর তিনি দেবী কদ্রুর দাসত্বগিরি করতে থাকে।
এই ঘটনা থেকেই পক্ষীরাজ গরুড়, নাগেরদের ওপর এবং kaliya naag এর মাতার ওপর খুব রাগ করতো। এবং অবশেষে তাদের সঙ্গে যে সম্পৰ্ক ছিল সেটা ধীরে ধীরে শত্রুতায় পরিণত হয়। অবশেষে দীর্ঘদিন পর পক্ষীরাজ গরুড় তার মাতাকে দেবী কদ্রুর দাসত্বগিরি থেকে মুক্ত করেছিল।
shree krishna কেন kaliya naag কে দমন করেন?
কালিয়া নাগ যমুনা কুন্ডে থাকাকালীন তিনি যমুনার জলকে বিষাক্ত করে ফেলেছিলেন। আর বৃন্দাবন যাওয়ার জন্য সেই যমুনাকে পার হতে হত। কেও যদি পার হওয়ার চেষ্টা করতো তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়ে যেত। এই কারনে কেও যমুনার জল পান করতে পারতো না। এমনকি সেই যমুনার হাওয়া যদি কারো উপর দিয়ে বয়ে যেত তাহলেও তার ক্ষতি হত। আবার যদি যমুনার উপর দিয়ে যদি কোনো পাখিরা উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করতো তাহলেও তারা সেই বিষাক্ত জলের টানে নদীতে পড়ে যেত এবং তাদের মৃত্যু হত। ভাবা যায়! কিরকমভাবে যমুনার জলকে বিষাক্ত করে ফেলেছিল এই kaliya naag।
shree krishna তো পরম ঈশ্বর, তিনি তো সবই জানেন। তিনি শুধুমাত্র উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করছিলেন। উচিৎ সময়ে এই সমস্যা থেকে সবাইকে উদ্ধার করার জন্যে এবং যমুনার জলকে বিষাক্তাহীন করার জন্যে, ভগবান shree krishna কালিয়া নাগকে দমন করেন এবং তাকে যমুনার কুন্ড থেকে পুনারায় রমণ দ্বীপে পাঠিয়ে দেন।
kaliya naag এবং shree krishna এর মধ্যে যুদ্ধ:
একদিন শ্রী কৃষ্ণ গাভী, বাছুর আর তার সখাদের সাথে যমুনার পারে খেলছিল। খেলতে খেলতে সখাদের খুব জল পিপাসা পেয়েছিল আর তাতে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তাই পিপাসা মেটাতে তারা যমুনার জল পান করে। বিষাক্ত সেই জল পান করার সাথে সাথে তারা অজ্ঞান হয়ে যায়। শ্রী কৃষ্ণ হলো স্বয়ং ভগবান, এই দেখে তিনি তার সখাদের পুনরায় সুস্থ করে দেন। এবং তিনি ঠিক করেন যে, এবার kaliya naag কে শাস্তি দিতেই হবে। তাই shree krishna কালিয়া নাগকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এবং যমুনার জলকে বিষাক্তহীন করার জন্য তিনি যমুনাতে ঝাঁপ দেন। যমুনাতে ঝাঁপ দিতেই সেখানে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্প হওয়ার কারনে কালিয়া নাগ এসে দেখে যে একটি ছোট্ট শ্যামলা বর্ণের বালক সেখানে নির্ভয়ে খেলা করছে। এ দেখে কালিয়া নাগ রাগে হুংকার করতে লাগে আর শ্রী কৃষ্ণকে তার লেজ দিয়ে জড়িয়ে ধরে।
এই খবর পাওয়ার সাথে সাথে গোপীরা, যাশোধা মাতা এবং নন্দরাজ ছুটে আসেন। যাশোধা মাতা shree krishna কে জল থেকে তুলে আনার জন্যে জলে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভ্রাতা বলরাম অনেক বুঝিয়ে মাতা যাশোদাকে থামিয়ে নেন। গোপীরা এবং সবাই চিন্তিত আর দুঃখিত হওয়ায় শ্রী কৃষ্ণ তার মায়া দিয়ে তার শরীরকে চওড়া করেন এবং kaliya naag এর বন্ধন থেকে মুক্ত হন। তারপর রাগে কালিয়া জোরে জোরে হুঙ্কার করতে থাকেন। হুঙ্কার করার সাথে নাক দিয়ে বিষ আর মুখ দিয়ে আগুনের গোলা কৃষ্ণের দিকে ধাবিত করে। তখন শ্রী কৃষ্ণ লাফ দিয়ে কালিয়া নাগের মাথায় উঠে আর নাগের প্রতিটি মাথায় লাফানো শুরু করে। নৃত্য করাতে কালিয়া নাগের প্রতিটি অঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং তিনি সম্পূর্ণভাবে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, তার সাথে কালিয়ার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। এই অবস্থায় কালিয়া নাগ ব্যাথায় ঠিক না থাকতে পেরে তিনি যমুনার নিচ থেকে মাথা তার মাথাটি বের করে দেন। তখন শ্রী কৃষ্ণ কালিয়া নাগের মাথায় নৃত্য করতে থাকে। শ্রী কৃষ্ণের এই লীলা দেখে তার সখারা, গোপীরা, মাতা যশোদা, নন্দরাজ সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
kaliya naag এর স্ত্রী দ্বারা shree krishna এর আরাধনা:
শক্তিহীন কালিয়ার অবস্থা দেখে তার স্ত্রীরা কৃষ্ণের কাছে আসেন। এসে শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা করেন এবং বলেন, আমাদের স্বামী জঘন্য অপরাধ করেছেন তাই তার শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু তাকে ছাড়া আমরা কি করবো আর কোথায় বা যাবো। তাই kaliya naag এর স্ত্রীরা দুই হাত জোর করে shree krishna এর কাছে প্রার্থনা করে বলেন যে, হে প্রভু আমাদের স্বামীকে ছেড়ে দেন উনি একজন মূর্খ তাই আপনাকে চিনতে পারেনি।
অবশেষে shree krishna কালিয়া নাগের স্ত্রীদের প্রার্থনা স্বীকার করেন এবং kaliya naag কে ছেড়ে দেন এবং আদেশ করেন, হে কালিয়া তুমি এক্ষুনি এই স্থান ছেড়ে পুনরায় রমণ দ্বীপে চলে যাও। কিন্তু কালিয়া অস্বীকার করে বলেন যে প্রভু, রমণ দ্বীপে আমি গেলে আমাকে পক্ষীরাজ গরুড় খেয়ে ফেলবে। তখন শ্রী কৃষ্ণ কালিয়া নাগকে বলেন, তোমার মাথায় আমি যে নৃত্য করেছি তাতে আমার চরণের ছাপ তোমার মাথায় অঙ্কিত হয়ে গেছে। এখন গরুড় তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। এই কথা শুনে কালিয়া নাগ যমুনাকে ছেড়ে তার স্ত্রীদের সাথে পুনারায় রমণ দ্বীপে চলে যায়। কালিয়া নাগ যমুনা থেকে চলে যাওয়াতে বিষাক্ত যমুনার জল অমৃতে মতো হয়ে গেল।
তখন shree krishna এসে সবাইকে বলে এখন যমুনার জলে আর কোনো বিষ নেই, যমুনার জল এখন অমৃত হয়ে গেছে। এখন যমুনার জল কারো কোনো ক্ষতি করবে না কারন kaliya naag এখানে আর নেই, সে এখান থেকে চলে গিয়েছে।
kaliya naag দমনের এই কাহিনী আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। এই কাহিনীতে যদি কোথাও কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে sanatan sikkha এর জন্য কোনোরকম দোষী নয়। কারন এই সম্পূর্ণ কাহিনী আমি আমার নিজের জানা জ্ঞান থেকে লিখেছি।
তত্ত্ব:
shree krishna কিন্তু সবসময় যমুনার তীরে বসে বাশী বাজাতেন।
kaliya naag কে একমাত্র শ্রী কৃষ্ণই দমন করতে পারে।
কিছু সম্পর্কিত প্রশ্ন:
প্র: kaliya naag এর ভাইদের নাম কি ছিল ?
উ: কালিয়া নাগেরা একশত ভাই ছিল। এদের মধ্যে বাসুকি নাগ, পক্ষ নাগ, তাক্ষক নাগ, মহানাগ, কম্বল নাগ, মহাপক্ষ নাগ, পিঙ্গলা নাগ, কর্কটক নাগ, শঙ্খ নাগ, চুড় নাগ, ধনঞ্জয় নাগ আরো অনেক প্রকারের নাগ একে ওপরের ভাই ছিল।
প্র: kaliya naag এর কয়টি মাথা ছিল?
উ: ধর্মগ্রন্থ অনুসারে কালিয়া নাগের 100 টি মাথা ছিল।