নমস্কার, সনাতন ধর্মের জয়। Sanatan Sikkha র আরো একটি নতুন পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আজকের এই পোস্টে আমি (Mahabharat) মহাভারত নিয়ে কিছু অজানা তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মহাভারতের কিছু অজানা তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি যা হয়ত অনেকেরই অজানা। জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে অজানা তথ্যগুলো জেনে নেই।
মহাভারত |
Who is the author of mahabharat / মহাভারতের রচয়িতা কে :
অনেকেই জানেনা যে, মহাভারতকে কিন্তু পঞ্চম বেদ ধর্মগ্রন্থ বলা হয়ে থাকে। মহর্ষি বেদব্যাস মহাভারত ধর্মগ্রন্থটিকে রচনা করেছিলেন যা হিন্দু সংস্কৃতির একটি বহু মূল্যবান সম্পদ। মহর্ষি বেদব্যাস মহাভারত গ্রন্থটি গণেশকে দিয়ে একটি শর্তে লিখিয়েছিলেন। গণেশ মহর্ষি বেদব্যাসকে বলেছিলেন যে তিনি যেন না থেমে তার শ্লোকগুলি ধারাবাহিক ভাবে বলেন। মহর্ষি বেদব্যাসও শ্রীগণেশের কাছে একটি শর্ত রেখেছিলেন যে তিনি যে শ্লোকগুলি বলবেন তার অর্থ বুঝে গণেশকে ব্যাখ্যা করতে হবে। মহর্ষি বেদব্যাস পুরো গ্রন্থটিতে কঠিন শ্লোকে কথা বলছিলেন যা গণেশকে বুজতে সময় লাগতো। আর সেই ফাকের মধ্যে মহর্ষি বেদব্যাস বিশ্রাম নিতেন। এইভাবে মহর্ষি বেদব্যাস ও শ্রীগণেশের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে (Mahabharat) মহাভারত গ্রন্থটি রচিত হয়।
Causes of mahabharat / মহাভারত যুদ্ধের কারন :
মহাভারতে পান্ডু, ধৃতরাষ্ট্র এবং বিদুর ছিল তিন ভাই। অবশ্য বিদুর এক দাসী পুত্র ছিল। পান্ডু রাজার পাঁচ পুত্র ছিল যারা পান্ডব নামে পরিচিত। এবং অন্যদিকে রাজা ধৃতরাষ্ট্রের একশত পুত্র ছিল যারা কৌরব নামে পরিচিত। আমরা তো মোটামোটি সবাই জানি যে পান্ডব এবং কৌরবদের মধ্যে মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছিল। পান্ডব এবং কৌরোবরা কাকাতো জ্যাঠাতো ভাই হওয়া সত্ত্বেও তাদের সম্পর্ক শত্রুতায় পরিনত হয়েছিল। বিশেষ করে পাশা খেলার দরুন এই শত্রুতা গভীর এবং বিশাল আকার ধারন করেছিল। পাশা খেলায় পান্ডবরা হেরে যায়। এবং তার সঙ্গে পান্ডুপুত্র যুধিষ্ঠির তার ভাইদেরকে ও স্ত্রীকেও কৌরবদের কাছে হেরে যায়। এর ফলে পান্ডবদের ১২ বছর বনবাস ও ১ বছর অজ্ঞাতবাস কাটাতে হয়েছিল। ১৩ বছর পর পান্ডবরা ফিরে আসায় কৌরবরা পান্ডবদের অধিকার তাদের জমির অর্ধেক অংশ ফিরিয়ে না দেওয়ায় তাদের শত্রুতা যুদ্ধে পরিণত হয়েছিল আর এই যুদ্ধই হলো (Mahabharat) মহাভারত। আরোও বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
Some amazing facts about mahabharat / মহাভারতের কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য :
তাহলে চলুন এবার মহাভারতের কিছু রহস্যজনক ও আশ্চর্যজনক কথা আলোচনা করি। যে কথাগুলি আলোচনা করবো সে কথাগুলি হয়ত অনেকেরই অজানা। তাই যখনি বিষয়গুলো জানলে সত্যি সত্যি আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। তাহলে শুরু করা যাক...
The secret of playing dice / পাশা খেলার রহস্য :
আপনারা হয়তো জানেন না যে মহাভারতের পাশা খেলার যে রহস্যটি রোয়েছে তা শকুনি কে ঘিরেই। শকুনি ছিলেন কৌরবদের মামা। তারাও একশত ভাই ছিলেন। তাদের মধ্যে শকুনি ছিল সবথেকে বেশী চালাক। পান্ডবরা পাশা খেলায় হেরে যাওয়ার পিছনে রোয়েছে শকুনি ও তার পিতার কূটনামী ও ষড়যন্ত্র। শকুনিদের পিতার নাম ছিল গান্ধাররাজ। গান্ধাররাজ কি করেছিল শুনুন, তিনি মরার আগে শকুনিকে ডাক দিয়ে বলেছিলেন, আমি মরে যাওয়ার পর আমার দেহের হাড্ডি দিয়ে পাশা খেলার গুটি বানিয়ে নিতে। তাহলে সেই গুটি শকুনির কথামতোই কাজ করবে। পাশা খেলায় ঠিক তাই হয়েছিল। পান্ডবরা খালি হেরেই যাচ্ছিল। একবার যুধিষ্ঠির মনে সন্দেহ হয়েছিল। তাই তিনি একবার পাশার গুটি ভেঙে দিয়ে অন্য গুটি নিয়ে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না কারন যুধিষ্ঠির যে গুটি ভেঙেছিল তা তো শকুনির পিতার হাড্ডি দিয়ে বানানো হয়েছিল। যাই হোক যুধিষ্ঠির দ্বারা ভেঙে দেওয়া গুটি যখন বদলানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন মাঝ রাস্তাতেই গুটিগুলি আবার এমনিতেই জোড়া লেগে যায়। আর সেই গুটিই আবার নিয়ে আসা হয় পাশা খেলার জন্যে। ফলস্বরূপ কৌরবদের কাছে পান্ডবরা সবকিছু হেরে যায়। (Mahabharat) মহাভারত যুদ্ধ হওয়ার পিছনে পাশা খেলা একটি মুখ্য কারন ছিল।
Marriage of shantanu raja and ganga devi / শান্তনু রাজা ও গঙ্গা দেবীর বিবাহ :
শান্তনু রাজা ছিলেন মহামহিম ভীষ্মের পিতা। তিনি গঙ্গা দেবীকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তাকে বিবাহ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেবী গঙ্গা একটি শর্তের বিনিময়ে শান্তনু রাজার সাথে বিবাহ করতে রাজি হয়েছিলেন। শর্তটি ছিল যে, বিবাহের পরে দেবী গঙ্গা যাই করবেন তাতে শান্তনু রাজা যেন তাকে কোনো প্রশ্ন করতে না পারেন। যদি রাজা কোনো প্রশ্ন বা কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করেন সেই মুহূর্তেই দেবী গঙ্গা তাকে ছেড়ে চলে যাবেন। শান্তনু রাজা এতে রাজি হয় এবং দেবী গঙ্গার সাথে তার বিবাহ হয়। তারা আটটি পুত্রের আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। আর এই আট পুত্রই হলো অষ্ট বসু। যেমনটা আমরা ছোটবেলায় বইয়ে পড়ে থাকি "আটে অষ্টবসু"। বিবাহের পর শান্তনু রাজা ও দেবী গঙ্গার একটি করে পুত্র হত আর দেবী তাদেরকে নদীতে ভাসিয়ে দিতেন। এই দেখে রাজার বুকটা দুঃখে ফেটে যেত। কিন্তু শর্তের কথা চিন্তা করে তিনি দেবীকে কিছু বলতেন না। ঠিক এইভাবে দেবী গঙ্গা তাদের সাতটি পুত্রকে নদীতে ভাসিয়ে দিলেন। সত্যি কথা বলতে কি, যে সাতজন পুত্রকে দেবী নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন তারা সকলেই উদ্ধার হয়ে গিয়েছিল। এই কথা তো আবার রাজা শান্তনু জানতেন না। তিনি তো শুধুমাত্র তার পুত্রদের শোকে মনে আঘাত নিয়ে বেঁচে ছিলেন। শুধুমাত্র শর্তের কথা চিন্তা করে তিনি দেবীকে কিছু বলতেন না। যখনি দেবী গঙ্গা তাদের অষ্টম পুত্রকে নদীতে ভাসিয়ে দিতে গিয়েছিলেন তখন রাজা শান্তনু আর ঠিক থাকতে না পারায় তিনি দেবীকে প্রশ্ন করেই ফেলেন যে, "হে গঙ্গা এ তুমি কি করছো" ? ব্যাস ! সেই পুত্রকে আর নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হলো না। যার নাম হলো দেবব্রত। যা পরবর্তীতে ভীষ্ম নামে সবার কাছে পরিচিত হয়েছিল। রাজা প্রশ্ন করার পর সেই মুহূর্তেই দেবী গঙ্গা ভীষ্মকে নিয়ে আর শান্তনু রাজাকে ছেড়ে চলে যান। মহামহিম ভীষ্মকে (Mahabharat) মহাভারত যুদ্ধের একটি কারন বলতে পারেন। কারন ভীষ্ম তার নিজস্ব প্রতিজ্ঞার জন্যে তিনি কৌরবদের পক্ষে ছিলেন। আর ভীষ্ম কৌরবদের পক্ষে ছিলেন বলেই দুর্যোধনেরা এতো অন্যায় ও অধর্ম করতে পেরেছেন। বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।
Marriage of raja shantanu and sattabati / রাজা শান্তনু এবং সত্যবতীর বিবাহ :
শান্তনু রাজা ( যিনি মহামহিম ভীষ্মের পিতা ) দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন নিশাদের কন্যা সত্যবতীকে। তাদের দুটি পুত্র সন্তান হয়। একজন ছিল চিত্রাঙ্গদ এবং আরেকজন ছিল বিচিত্রবীর্য। এই দুইভাইয়ের বড়ো ছিল শান্তনু রাজা ও দেবী গঙ্গার পুত্র দেবব্রত। সত্যবতী খুবই স্বার্থবাদী ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তার বড়ো ছেলে চিত্রাঙ্গদকে রাজা বানাতে। কিন্তু গঙ্গাপুত্র দেবব্রত তো চিত্রাঙ্গদের থেকে বড়ো ছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী রাজা তো দেবব্রতই হবেন। কিন্তু এতে সত্যবতী খুশি ছিল না। তিনি চেয়েছিল তার পুত্র যেন রাজা হয়। তাই তিনি মনে মনে ফন্দি আটলেন এবং শান্তনু রাজাকে দিয়ে দেবব্রতকে দিয়ে দুটি প্রতিজ্ঞা করলেন। যে তিনি কখনো রাজা হবেন না এবং তিনি কোনোদিনও বিয়ে করবেন না। দেবব্রত এই দুটি ভীষণ প্রতিজ্ঞা তার পিতার কাছে করেছিল বলে তার নাম হয় ভীষ্ম। ভীষ্ম বিবাহ না করায় এবং রাজা না হওয়ায় ক্রমে ক্রমে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র রাজা হন। তিনি তো শুধু চোখে ছিল না, তিনি মন থেকেও অন্ধ ছিল। ধৃতরাষ্ট্র তার ছেলের মায়ায় অন্ধ ছিলেন তাই দুর্যোধন একের পর এক অধর্ম করতে পেরেছেন। যা (Mahabharat) মহাভারত যুদ্ধের অন্য আরেকটি কারন। বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।
Birth of dhritorashtra, pandu and vidura / ধৃতরাষ্ট্র, পান্ডু ও বিদুরের জন্ম :
সত্যবতীর দুই পুত্র ছিল। তার বড়ো পুত্র রাজা হয়েছিলেন। তিনি খুব বলশালী ও পড়াক্রমি ছিলেন। তার সাথে অহংকারীও ছিলেন। একবার তার সাথে গন্ধর্ব রাজার যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে চিত্রাঙ্গদের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর সত্যবতী তার দ্বিতীয় পুত্র বিচিত্রবীর্যকে রাজা বানান।
অন্যদিকে কাশিরাজ তার তিন পুত্রির স্বয়ম্বরের আয়োজন করেছিলেন। এই কথা জানতে পেরে দেবী সত্যবতী তার সৎপুত্র ভীষ্মকে আদেশ করেন যে তিনি যেন স্বয়ম্বর জিতে কাশিরাজের তিন পুত্রিকে নিয়ে আসে। মাতার আদেশ পেয়ে ভীষ্ম তাই করে। তিনি কাশিরাজের স্বয়ম্বরে গিয়ে সেখানে শ্বল্য রাজাকে পরাজিত করে কাশিরাজের তিন পুত্রি যথাঃ অম্বা, অম্বিকা ও অম্বালিকাকে নিয়ে আসে। অম্বা, স্বল্য রাজাকে ভালোবাসতেন। এই কথা তিনি ভীষ্মকে বলেন। তাই ভীষ্ম দেবী অম্বাকে স্বল্য রাজার কাছে ফিরিয়ে দেন। অবশ্য স্বল্যরাজ তখন দেবী অম্বাকে অস্বীকার করেন কারন তিনি মহামহিম ভীষ্মের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। আর কাশিরাজের বাকি দুই পুত্রিকে ( অম্বিকা ও অম্বালিকা ) বিচিত্রবীর্য বিবাহ করে। কিন্তু কিছুদিন পরে যক্ষা রোগে তার মৃত্যু হয়ে যায়।
তাহলে এখন রাজা হবে কে ? আপনারা কি জানেন যে আগেকার দিনে একটি প্রথা ছিল যে, কারো যদি সন্তান না হয় তাহলে সেই স্ত্রীর দেবর বা ভাসুর তাদের রস দিয়ে সন্তান তৈরি করতে পারতো। তাই (Mahabharat) মহাভারত এর শান্তনু রাজার দ্বিতীয় স্ত্রী সত্যবতী তার সৎ পুত্র ভীষ্মকে বলেছিলো অম্বিকা ও অম্বালিকার গর্ভে সন্তান দিতে। কারন রাজ্যে রাজা না থাকলে রাজ্য চলবে কেমন করে ? কিন্তু মহামহিম ভীষ্ম এতে রাজি হন না কারন এ হলে তো তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তারপরে সত্যবতী ভীষ্মকে তার কাননী পুত্রের কথা বলে। তিনি ছিলেন ব্যাসদেব। ভীষ্ম এতে রাজি হন। তারপরে সত্যবতী অম্বিকা ও অম্বালিকাকে রাজি করান। ব্যাসদেবের সাথে মিলনের সময় অম্বিকা তার মাথায় জোটা, গালে দাড়ি ও গায়ের গন্ধতে চোখ বন্ধ করে রইলেন তিনি আর চোখ খুলেননি। তাই অম্বিকার ছেলে ধৃতরাষ্ট্র জন্ম অন্ধ হয়েছে। আবার অন্যদিকে অম্বালিকা ব্যাসদেবকে দেখে ভয়ে গুটিয়ে ছিল। সেই কারনে অম্বালিকার ছেলে পান্ডু ভীতু হয়েছিলেন। তার কারনে সত্যবতী আরেকটি সন্তান চেয়েছিল। তাই সত্যবতী ব্যাসদেবকে এক দাসির কাছে যেতে বললেন। ভগবানের এমনি কৃপা যে সেই দাসি ছিল কৃষ্ণ ভক্ত। মিলনের সময় তিনি ব্যাসদেবকে দেখে কৃষ্ণনাম করছিলেন। তাই সেই দাসির পুত্র কৃষ্ণভক্ত হয়েছিল। যার নাম হলো বিদুর। তাই বিদুরকে ধৃতরাষ্ট্র ভালো পেতেন না ।
Birth of karna / কর্নের জন্ম :
(Mahabharat) মাহাভারত এ পান্ডবদের মাতা দেবী কুন্তী বাল্যকাল থেকেই ঋষি দুর্বাসার সেবা যত্ন করতেন। ঋষি দুর্বাসা কুন্তীর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে কুন্তিকে এক জাদুমন্ত্র দান করেন। সেই জাদুমন্ত্রের এতটাই শক্তি ছিল যে সেই জাদুমন্ত্র দ্বারা যাকেই স্মরন করা হবে সেই এসে সেখানে উপস্থিত হবে। কিন্তু কুন্তী বালিকা ছিল। সে জাদুমন্ত্রের প্রভাব জানতো না। দেবী কুন্তী যখন বালিকা ছিল তখন সে সকাল বিকাল শুধু সূর্যদেবকে দেখতো। সে মনে মনে সূর্যদেবকে ভালোবেসেছিল। তাই একদিন কুন্তী তার পাওয়া মন্ত্রকে পরীক্ষা করার জন্যে সূর্যদেবকে স্মরন করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সূর্যদেব সেখানে চলে আসে। সূর্যদেবকে দেখে কুন্তী অবাক হয়ে গিয়েছিল। সূর্যদেব তখন কুন্তিকে বলে হে কুন্তী, তুমি কোনো সাধারন মানুষ নও। যদি হতে তাহলে আমার সামনে তুমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারতে না। ভস্ম হয়ে যেতে। তাই আমি যাবার সময় তোমাকে একটি পুত্র দান করে যাবো। তাকে তুমি অবহেলা করবে না। সমগ্র সংসার তাকে কর্ন নামে জানবে। কিন্তু কুন্তী ছিল অবিবাহিত। লোক লজ্জার ভয়ে তিনি কর্নকে নদীতে ভাসিয়ে দেন।
Why did srikrishna protect arjuna ? শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে রক্ষা করেছিল কেন ?
আপনানারা সবাই গিরি গোবর্ধন পর্বতের কথা তো জানেন। যে কিভাবে srikrishna গিরি গোবর্ধন পর্বত বাম হাতের কনিষ্ঠায় উঠিয়ে গাভী, বাছুর, গোপীদের, ও বৃন্দাবন বাসীদের রক্ষা করেছিলেন। যদি এই ঘটনাটি না জানেন তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি ঘটনাটি পোস্ট করার চেষ্টা করবো গিরি গোবর্ধন পর্বত উঠানোর সময় ইন্দ্রদেব শ্রীকৃষ্ণের উপর প্রহার করেছিল। কিন্তু তাতে কি হবে কোথায় ইন্দ্রদেব আর কোথায় স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। যাই হোক শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রদেবের অহংকার ভাঙেন এবং অবশেষে ইন্দ্রদেব তার ভুল বুজতে পারেন। তিনি শ্রীকৃষ্ণের কাছে ক্ষমা চান আর তার সাথে তিনি প্রভু শ্রীকৃষ্ণকে বলেন যে হে প্রভু, মর্ত্যলোকে আমার এক পুত্র রয়েছে যার নাম অর্জুন। তিনি যেন অর্জুনকে রক্ষা করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এতে রাজি হন। এবং (Mahabharat) মহাভারত যুদ্ধে তিনি অর্জুনকে রক্ষা করেন।
What did the pandavas do after winning / বিজয়ী হবার পর পান্ডবরা কি করলেন ?
(Mahabharat) মহাভারত যুদ্ধে পান্ডবরা জয় লাভ করার পরে তারা পোলার পর্বতমালা দিয়ে স্বর্গে যাবার পথ তৈরি করে। চমকে যাবার বিষয় হলো সেই পথ তাদেরকে ইন্দ্রদেব দেখিয়ে ছিল। কিন্তু কিভাবে ? শুনুন তাহলে। পান্ডবরা যখন স্বর্গে যাচ্ছিলেন তখন তাদের সাথে এক কুকুরও ছিল। সেই কুকুরটিই তাদের রাস্তা দেখিয়েছিলেন। আসলে সেই কুকুরটি আর কেউ ছিল না, স্বয়ং ইন্দ্রদেব ছিলেন। পান্ডবদের মধ্যে একমাত্র যুধিষ্ঠির স্বর্গের দ্বার পেয়েছিল। আর তার ভাইয়েরা ও তাদের স্ত্রী দ্রৌপদী রাস্তাতেই মারা যান।
Conclusion / উপসংহার :
এতক্ষন ধরে আপনারা পড়লেন (Mahabharat) মহাভারত যুদ্ধের কিছু অজানা তথ্যের সম্পর্কে। আশা ক্সকরি এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্টটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। এতে আমাদের ভালো লাগবে।
ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনKobe hobe
উত্তরমুছুন