নমস্কার, সনাতন ধর্মের জয়। Sanatan Sikkha তে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আজকের পোস্টটি একটু আলাদা। আজকের পোস্টটি সম্পূর্ন পড়লে আপনারা বুজতে পারবেন যে অহংকার কি ? কেন অহংকার পতনের মূল কারন ? Keno Ahankar Patoner Mul Karon ? আর অহংকার থেকে মুক্তির উপায় বা কি ? আমরা সবাই অহংকারি, কারন আমাদের সবারই কিছু না কিছু বিষয় নিয়ে অহংকার আছে। অহংকার নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই জটিল। কিন্তু অহংকার পতনের মূল কারন / Ahankar Patoner Mul Karon। জানতে হলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
অহংকার (Ahankar) মানব স্বভাবের একটি অংশ বিশেষ। অন্যের চাইতে নিজেকে বড়ো মনে করাকেই মূলত অহংকার বলে। যেমন -
অন্যকে নিজের তুলনায় ছোট মনে করা।
অন্যের কাছে নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করা।
অধীনস্তদের সাথে দুর্ব্যাবহার করা।
নিজের ভুলের উপর জেদ করে অটল থাকা।
মানুষের সাথে সবসময় কঠোর ব্যবহার করা।
জ্ঞান অর্জন না করা।
অন্যের উপদেশ গ্রহন না করা ইত্যাদি।
একটি কথা মনে রাখবেন প্রান গোবিন্দ অহংকার (Ahankar) সহ্য করেন না। কেও যদি অহংকার করে তাহলে গোবিন্দ তার অহংকার অবশ্যই চূর্ন করেন। তাই তো প্রান গোবিন্দকে অহংকার চূর্নকারীও বলা হয়ে থাকে। এমনকি তিনি অর্জুনের অহংকার চূর্ণ করেছিলেন। শুধু তাই নয় ভীম এবং তার বড়ো ভাই বলরামের অহংকারও তিনি চূর্ন করেছিলেন। সুতরাং কেও অহংকার করলে তার পতন নিশ্চিত।
১ - উচ্চশিক্ষার অহংকার।
২ - উচ্চ কূলে জন্মের অহংকার।
৩ - রূপের অহংকার।
৪ - ধন-সম্পদের অহংকার।
অহংকার (Ahankar) করাটাই ব্যার্থ কারন অহংকারকে তো সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না। যেটা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন সেটা হলো মধু মাখা কৃষ্ণ নাম। তাই বলছি অহংকার করা বাদ দিয়ে মধু মাখা কৃষ্ণ নাম করুন।
কিসের এতো অহংকার ? অহংকার করে কোন লাভ নেই। কারন ঘুম ভাঙলেই তো আজকের দিনটা গতকাল হয়ে যাবে।
আমাদের এই দেহ হলো পচা, যদি দেহে প্রান গোবিন্দ না থাকে। এই মাটির দেহ মাটিতে পুড়ে হবে ছাই। তাই অহংকার করে কোন লাভ নেই ভাই।
মহারাজ যুধিষ্ঠির ছিলেন স্থির, ধৈর্য্যবান ও ধর্মপরায়ন ব্যাক্তি। তাই তো তিনি হস্তিনাপুরের সিংহাসন ফিরে পেয়েছিলেন। আর অন্যদিকে দুর্যোধন ছিলেন অহংকারী, ব্যাবিচারী ও দূরচারী ব্যাক্তি। তাই তার ধ্বংস হয়েছিল। এবার আপনি ঠিক করুন যে আপনি কোন পথে যাবেন।
ধর্মের পথে চললে কষ্ট হবে ঠিকই কিন্তু জয় আপনারই হবে। কোথায় তো আছে যে, ধর্মের আলো টিপ টিপ করে জ্বলে কিন্তু নিভে না। ওটা জ্বলতেই থাকে। আর অধর্মের আলো দাও দাও করে জ্বলে আবার নিভেও যায়।
মনুষ্য জীবন দুর্লভ জীবন। ৮০ লক্ষ্য যোনী পরিবর্তন করার পর মনুষ্য রূপে জন্ম হয়ে থাকে। তাই মনুষ্য জীবনের সৎ ব্যাবহার করা শিখুন। কু-কর্ম বা অহংকার (Ahankar) করে নিজের জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট করবেন না।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত আমাদের হতেই হবে। কাজেই সময় থাকতে ভগবানের শরণাগত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। নিজেই বিচার করে দেখুন।
চৈতন্য মহাপ্রভু যিনি স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, তিনি জীবের উদ্ধারের জন্য ও জীবের কল্যানের জন্য হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করতে বলে গিয়েছেন। এই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র নাম জপ করে আমরা চিৎ জগতে অর্থাৎ ভগবানের ধামে ফিরে যেতে পারবো। এই ব্যাবস্তা তিনি করে গিয়েছেন। আর যদি কারো মনে তিল পরিমানও অহংকার থাকে তাহলে সে ভগবানের ধামে যেতে পারবে না। তাহলে সময় নষ্ট না করে আসুন সবাই মিলে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র নাম জপ করি। এতে আমাদেরই মঙ্গল হবে।
অন্যকে নিজের তুলনায় ছোট মনে করা।
অন্যের কাছে নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করা।
অধীনস্তদের সাথে দুর্ব্যাবহার করা।
নিজের ভুলের উপর জেদ করে অটল থাকা।
মানুষের সাথে সবসময় কঠোর ব্যবহার করা।
জ্ঞান অর্জন না করা।
অন্যের উপদেশ গ্রহন না করা ইত্যাদি।
একটি কথা মনে রাখবেন প্রান গোবিন্দ অহংকার (Ahankar) সহ্য করেন না। কেও যদি অহংকার করে তাহলে গোবিন্দ তার অহংকার অবশ্যই চূর্ন করেন। তাই তো প্রান গোবিন্দকে অহংকার চূর্নকারীও বলা হয়ে থাকে। এমনকি তিনি অর্জুনের অহংকার চূর্ণ করেছিলেন। শুধু তাই নয় ভীম এবং তার বড়ো ভাই বলরামের অহংকারও তিনি চূর্ন করেছিলেন। সুতরাং কেও অহংকার করলে তার পতন নিশ্চিত।
অহংকার কতো প্রকার ও কি কি / Ahankar kato prokar o ki ki ?
অহংকার (Ahankar) মূলত চার প্রকারের হয়। যথাঃ১ - উচ্চশিক্ষার অহংকার।
২ - উচ্চ কূলে জন্মের অহংকার।
৩ - রূপের অহংকার।
৪ - ধন-সম্পদের অহংকার।
অহংকার পতনের মূল / Ahankar Patoner Mul :
অহংকার (Ahankar) করলে কি হয় ? বা আপনি কেনো অহংকার করবেন না, জানার জন্যে আরো একটু ধৈর্য্য ধরে পড়ুন।অহংকার (Ahankar) করাটাই ব্যার্থ কারন অহংকারকে তো সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না। যেটা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন সেটা হলো মধু মাখা কৃষ্ণ নাম। তাই বলছি অহংকার করা বাদ দিয়ে মধু মাখা কৃষ্ণ নাম করুন।
কিসের এতো অহংকার ? অহংকার করে কোন লাভ নেই। কারন ঘুম ভাঙলেই তো আজকের দিনটা গতকাল হয়ে যাবে।
আমাদের এই দেহ হলো পচা, যদি দেহে প্রান গোবিন্দ না থাকে। এই মাটির দেহ মাটিতে পুড়ে হবে ছাই। তাই অহংকার করে কোন লাভ নেই ভাই।
মহারাজ যুধিষ্ঠির ছিলেন স্থির, ধৈর্য্যবান ও ধর্মপরায়ন ব্যাক্তি। তাই তো তিনি হস্তিনাপুরের সিংহাসন ফিরে পেয়েছিলেন। আর অন্যদিকে দুর্যোধন ছিলেন অহংকারী, ব্যাবিচারী ও দূরচারী ব্যাক্তি। তাই তার ধ্বংস হয়েছিল। এবার আপনি ঠিক করুন যে আপনি কোন পথে যাবেন।
ধর্মের পথে চললে কষ্ট হবে ঠিকই কিন্তু জয় আপনারই হবে। কোথায় তো আছে যে, ধর্মের আলো টিপ টিপ করে জ্বলে কিন্তু নিভে না। ওটা জ্বলতেই থাকে। আর অধর্মের আলো দাও দাও করে জ্বলে আবার নিভেও যায়।
মনুষ্য জীবন দুর্লভ জীবন। ৮০ লক্ষ্য যোনী পরিবর্তন করার পর মনুষ্য রূপে জন্ম হয়ে থাকে। তাই মনুষ্য জীবনের সৎ ব্যাবহার করা শিখুন। কু-কর্ম বা অহংকার (Ahankar) করে নিজের জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট করবেন না।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত আমাদের হতেই হবে। কাজেই সময় থাকতে ভগবানের শরণাগত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। নিজেই বিচার করে দেখুন।
চৈতন্য মহাপ্রভু যিনি স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, তিনি জীবের উদ্ধারের জন্য ও জীবের কল্যানের জন্য হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করতে বলে গিয়েছেন। এই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র নাম জপ করে আমরা চিৎ জগতে অর্থাৎ ভগবানের ধামে ফিরে যেতে পারবো। এই ব্যাবস্তা তিনি করে গিয়েছেন। আর যদি কারো মনে তিল পরিমানও অহংকার থাকে তাহলে সে ভগবানের ধামে যেতে পারবে না। তাহলে সময় নষ্ট না করে আসুন সবাই মিলে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র নাম জপ করি। এতে আমাদেরই মঙ্গল হবে।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
শ্রীবিষ্ণুর দশ অবতারের কাহিনী (পড়ুন)
তুলসী মালা গলায় পরলে কি হয় (পড়ুন)
দোল পূর্ণিমার ইতিহাস ও তাৎপর্য্য (পড়ুন)
অহংকার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি / Ahankar theke mukti pawar upay ki ?
চলুন তাহলে জেনে নেই অহংকার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি ? কিন্তু তার আগে জেনে নিন, অহংকার (Ahankar) থাকা ভালো না। প্রাণ গোবিন্দ এই অহংকার সহ্য করতে পারেন না। তাই তো কেও যদি অহংকারী হয় তাহলে তার আজ নয়তো কাল পতন হবেই। এটা ভগবানই করবে। তিনি কোন দিক থেকে কিভাবে করবেন এটা কেও বুজতে পারবে না। তাই আজই অহংকার করা ছেড়ে দিন আর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত হয়ে যান।মৃত্যুর কথা মনে রাখা ও মৃত্যুর পর জবাবদিহির ভয়ে ভীত থাকা অহংকার থেকে মুক্তির একটি উপায়।
গরিব ও দরিদ্রদের সাহায্য করাও অহংকার থেকে মুক্তির একটি উপায়। এছাড়া -
আমার প্রতিটি কাজ ভগবান দেখেন এবং আমার কর্মফল তিনিই আমাকে দিবেন এই বিস্বাস রাখা।
অসুস্থদের সেবা প্রদান করা বা তাদের সেবা প্রদানের জন্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
কোনোরকম অত্যাচার বা কোনোরকম কূটনামি না করা এবং সুন্দর চরিত্রের মানুষ হওয়ার চেষ্টা করা।
অন্যের সাথে নম্র আচরন করা ও অন্যের যদি কোন ভুল হয়েও থাকে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া।
নিজের দোষ খুঁজে বার করা ও তার সংশোধন বা প্রায়চিত্ত করার চেষ্টা করা।
ভুলবশত যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন তাহলে যেভাবেই হোক তাকে খুশি করা।
অহংকার থেকে মুক্তি পেতে ভগবানের কাছে সাহায্য চাওয়া ও তার নাম কীর্তন করা।
মনে অহংকার নিয়ে কোন বিচার না করা। এই সমস্ত উপায় দ্বারা অহংকার (Ahankar) থেকে দূরে থাকা যায়।