প্রিয় সোনাতনী ভক্তরা, মনটাকে স্থির করে বসুন কারন আজকে যে পোস্টটি আমি লিখতে চলেছি সেটা সকল সনাতনী ভক্ত এবং বৈষ্ণবদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। পোস্টটি radha krishna এর রাসলীলা নিয়ে লেখা হয়েছে। পোস্টটিতে থাকবে প্রচুর রহস্য। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ পোস্টটি পড়ার জন্য একটু সময় করে নিবেন। এবং মনটাকে স্থির করে পড়বেন। কথাই তো আছে যে, radha krishna এর রাসলীলা বৃন্দাবনে আজও হয়। পোস্টটিতে এমন কিছু থাকবে যেটা পড়ে আপনারা সত্যিই চমকে যাবেন। চলুন তাহলে আজকের পোস্টটি শুরু করি.....
Radha krishna raslila |
রাসলীলার সময় :
শ্রীশ্রীশারদীয়া দুর্গাপূজার পর কার্তিক মাসে যে পূর্ণিমা হয়, সেই পূর্ণিমাকেই রাস পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে। এই রাস পূর্ণিমাতে radha krishna রাসলীলা করেছিলেন।
রাসলীলায় কে কে থাকতেন :
radha krishna ছাড়া রাসলীলা অসম্ভব। রাধা কৃষ্ণ ছাড়াও রাসলীলায় শ্রীকৃষ্ণের অষ্টসখী থাকতেন। একবার রাসলীলায় কামদেব সেখানে কামনা বাসনা ছড়িয়ে দিতে চাইছিলো। তাই sri krishna কামদেবকে কদম গাছে বেঁধে রেখেছিলেন।
রাসলীলার স্থান :
radha krishna যে রাসলীলা করেছিল নিধুবনে। কিন্তু প্রশ্ন হলো কোথায় এই নিধুবন ? নিধুবন হলো যমুনার তীরে অবস্থিত বৃন্দাবনের একটি অংশ। এই নিধুবনেই কিন্তু কৃষ্ণ বার বার শ্রীমতি রাধারানির সাথে দেখা করতো।
নিধুবনের রহস্য :
বৃন্দাবনের নিধুবনে radha krishna আজও রাস করেন। নিধুবনের ভিতরে যে অন্দর মহল রয়েছে সেটাকে আমরা রঙ্গ মহল নামে চিনি বা জানি। আর সেই রঙ্গ মহলের ভিতরে একটি চন্দন কাঠের বিছানা রয়েছে। কথাই আছে যে নিধুবনের সেই রঙ্গ মহলে প্রতি রাতে শ্রীকৃষ্ণ আসেন। আর ভোর হলে বিছানা দেখে বোঝা যায় যে রাতে কেউ বিছানায় শুয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেখানে জলও রেখে দেওয়া হতো। পরেরদিন জলও কম হয়ে যেত। তাই সন্ধ্যাবাতি দেওয়ার পড়ে নিধুবনের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হতো।
নিধুবনের সতর্কতা :
কথাই আছে যে নিধুবনে যে সমস্ত গাছ রয়েছে তারা সোজা নয়, তারা সামনের দিকে ঝুকে রয়েছে। আর সেখানে জোড়ায় জোড়ায় তুলসী গাছ রয়েছে। নিধুবনে রাত হলে গাছগুলো গোপী হয়ে শ্রীকৃষ্ণের সাথে রাস করে এবং ভোর হলে তারা আবার গাছে পরিনত হয়। এই নিধুবনের রহস্য যদি কেউ জানার চেষ্টা করতো তাহলে সে অন্ধ কিংবা পাগল হয়ে যেত। ধরুন, নিধুবনের রহস্য জানার জন্য কেউ যদি সন্ধ্যার পর নিধুবনে লুকিয়ে থাকতো তাহলে সে অন্ধ এবং পাগল হয়ে যেত। তাই নিধুবনের রহস্যকে জানার সাহস কারো হয় না।
এগুলো পড়ুন :-
রাসলীলার অর্থ কি :
রাস কথাটির অর্থ হলো রস। আর লীলার অর্থ খেলা। অর্থাৎ রাসলীলা মানে রসের খেলা। আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ, আপনারা রাসলীলাকে কেউ নোংরা চোখে দেখবেন না, পড়বেন না বা ভাববেন না। কারন রাসলীলা কিন্তু কোনো শারীরিক কর্ম নয়। এটা আধ্যাত্মিক কর্ম।
কিভাবে হতো রাস :
radha krishna এর রাস যেভাবে হতো সেটা কোনোদিনও ভুলার নয়। প্রথমে কৃষ্ণ বাঁশি বাজাতো। মন মাতানো কৃষ্ণের বাঁশির ধ্বনি শুনে রাধা এবং গোপীরা শ্রী কৃষ্ণের সাথে দেখা করার জন্যে পাগল হয়ে যেত। গোপীরা যে যেই কাজ করতে থাকুক না কেন তারা সব কাজ ফেলে ছুটে যেত কৃষ্ণের কাছে। এবং প্রত্যেকটি গোপীর জন্যে কৃষ্ণ আলাদা আলাদা হয়ে সবার সঙ্গে ( মানে একজন গোপীর জন্যে একজন কৃষ্ণ ) নৃত্য পরিবেশন করতেন। মাঝখানে থাকতো radha krishna। তারা গোল গোল করে ঘুরে রাস করতো।
Radha krishna এর রাসলীলা :
radha krishna এর রাসলীলায় রাধা ছিলেন মুখ্য। তিনি কৃষ্ণের সাথে মাঝখানে থাকতেন। এবং তাদের চারদিকে গোপীরা ঘুরতেন। রাসলীলাকে অনুভব করতে একবার স্বয়ং মহাদেবও শ্রীকৃষ্ণের সাথে রাস করেছিলেন।
উপসংহার :
Radha krishna এর রাসলীলার কথা আমি খুব সহজ সরল ভাষায় লিখলাম। আপনাদের যাতে বুজতে সুবিধা হয়। পোস্টটি কেমন লাগলো আমাকে কিন্তু অবশ্যই জানাবেন। এই পোস্টটি পড়ার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। সুখে থাকবেন। জয় রাধে।