Breaking Ticker

আত্মা (Atma) কি ? আত্মা (Atma) সম্পর্কে জানুন।

প্রিয় সনাতনী ভক্তরা, sanatan sikkha তে আপনাদের সবাইকে স্বাগত। আজকের পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয় হলো আত্মা (Atma)। এই আত্মা (Atma) নিয়ে আজকের পোস্টে বেশ কয়েকটি কথা আলোচনা করা হবে। যা সবাইকে জেনে রাখা উচিত। যে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে, সেগুলো হলো...


আত্মা (Atma) কি ?

আত্মা (Atma) র গুন কি ?

আত্মা (Atma) র কর্তব্য কি ?

মৃত্যুর পর আত্মা (Atma) র কি হয় ?

আত্মা (Atma) এবং ধর্ম।

কিভাবে আত্মা (Atma) র উন্নতি বা অবনতি হয় ?


আত্মা (Atma)
Atma

আত্মা (Atma) কি :

মানব-দানব, পশু-পক্ষী, জীবজন্তু, এরা কিভাবে বেঁচে থাকে ? কিভাবে খায়? কিভাবে চলাফেরা করে? কখনো ভেবে দেখেছেন? এদের জীবনধারনের জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এই শক্তিই হল আত্মা (Atma)। প্রতিটি দেহের ভিতরে পরমাত্মার অংশ অর্থাৎ আত্মা, শক্তি হয়ে বাস করে। যে দেহের ভিতরে আত্মা বসবাস করে তখন সে দেহ জীবিত থাকে। আত্মা কোন শরীর নয়। আত্মা শরীরে থেকেও শরীর থেকে একদম আলাদা। যেমন মনে করেন কচু পাতাতে যদি এক ফোটা জল থাকে তাহলে জলের ফোটাটি কেমন টলমল করে তাই না? তাই বলে জলের ফোটাটি কিন্তু কচু পাতা নয়। আত্মার ক্ষেত্রও ঠিক তেমন।


মানুষ জ্ঞান ছাড়াও অর্থাৎ অজ্ঞান হয়েও বাঁচে। অর্থাৎ আত্মা কোন জ্ঞান বা চেতনা নয়। অন্ধরাও বাঁচে, বোবারাও বাঁচে, অর্থাৎ আত্মা (Atma) কোন জ্ঞানেন্দ্রিয় নয়। এ থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, আত্মা এক প্রকারের শক্তি অর্থাৎ পরমাত্মার অংশ। যা মানব শরীরে থেকে সুখ দুঃখ অনুভব করে। মানুষের কর্মের উপর ভিত্তি করে আত্মার উন্নতি কিংবা অবনতি হয়ে থাকে। বিষয়টি জানার জন্য পড়তে থাকুন।


আত্মা (Atma) র গুন কি ?

আত্মা অবিনশ্বর। অজয় এবং অমর। আত্মাকে কোনরকম ভাবেও ধ্বংস কিংবা নষ্ট করা যায় না। মানুষের দেহকে হত্যা করা যায় কিংবা ধ্বংস করা যায়। কিন্তু আত্মাকে কোন অস্ত্র দিয়ে ছেদ করা যায় না, অগ্নি দ্বারা জ্বালানো যায় না, জল আত্মাকে দুর্বল করতে পারে না, আর বায়ুও আত্মাকে শুষ্ক করতে পারে না। কারন আত্মা (Atma) হলো সনাতন, পরমাত্মা অর্থাৎ ভগবানের অংশ।


আত্মা (Atma) র কর্তব্য কি ?

আত্মা হলো পরমাত্মার অংশ। আর প্রতিটি আত্মার কর্ম হলো পরমাত্মার ভক্তি করা। যখন পরম ব্রহ্ম ভাগ হয়েছিল তখন আত্মারা চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছিল। এই আত্মার উপর মায়া-মমতা, মোহ, লোভ, এবং অহংকার আবরন করে রেখেছে। যেমন মনে করেন, কোন হীরার টুকরা যদি কোন আবর্জনার ওপর পড়ে থাকে, তাহলে সেই হীরা কিন্তু চমকাতে পারে না। ঠিক তেমনি আত্মাটাও কিন্তু ষড়রিপুর আবরনে ঢেকে রয়েছে। প্রতিটি আত্মা (Atma) যখন জেনে ফেলবে যে তারা শরীর নয় বরং পরমাত্মার অংশ, এবং নিরন্তর পরমাত্মার ভক্তি করতে থাকবে তখন সেই আত্মার উন্নতি হয়। আর এটা দেহের ভিতরে থেকেই সম্ভব। এটাই হলো আত্মার একমাত্র উদ্দেশ্য, কর্ম, এবং কর্তব্য। আশা করি বোঝাতে পারলাম।


কৃষ্ণ নামের মহিমা

কারা শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত হতে পারেন 


মৃত্যুর পর আত্মা (Atma) র কি হয় ?

দেহকে ধ্বংস করা যায় কিন্তু আত্মা কে নয়। যখন দেহের ভিতর থেকে আত্মা চলে যাবে তখন সেই দেহ পড়ে থাকবে। অর্থাৎ মানুষ মারা যাবে কিন্তু আত্মা মরবে না। এরা নতুন দেহ ধারন করবে। যার কর্ম যেইরকম সেই কর্মফল অনুযায়ী আত্মা (Atma) নতুন দেহ ধারন করবে। অর্থাৎ যারা সৎকর্ম করে তাদের জন্ম সৎ ঘরে হয়ে থাকে। আর যারা সব সময় অধর্ম করে, অন্যদের সব সময় দুঃখ-কষ্ট দেয়, এবং নিজের স্বার্থে চলে মৃত্যুর পর তাদের আত্মা অধার্মিকদের ঘরে হয়ে থাকে। অর্থাৎ তারা ভগবান থেকে ক্রমশ দূরে চলে যেতে থাকে। অধার্মিকরা যদি ধর্মের পথে না আসেন তাহলে তাদের মৃত্যুই তাদের প্রতি দয়া। কারন আজকের ধ্বংসের জন্যই আগামীতে নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি হবে। আর এতে সেই আত্মার উন্নতির সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।


আত্মা (Atma) এবং ধর্ম :

সমগ্র সৃষ্টি হলো পরমাত্মা। পরমাত্মা ছাড়া আর কিছুই নেই। যখন সমগ্র সৃষ্টি এটা জেনে নেয় যে, তারা পরমাত্মার অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়, তখন তারা পরমাত্মার প্রতি নিরন্তর ভক্তি করতে থাকে। একে ধর্ম বলে। যদি কারো জিহবা কাটা যায় তখন সমস্ত শরীর তার ব্যথা অনুভব করে। ঠিক তেমনি এই সংসারে যদি কোন এক ব্যক্তি অধর্মী হয়ে থাকে তাহলে সমগ্র সংসার তার দুঃখ অনুভব করে। এবং তারা সুখী হতে পারেনা। যদি এই সংসারে কোন এক ব্যক্তি পীড়িত থাকেন এবং এই জন্যে সমগ্র সংসার পীড়িত হয়ে থাকেন। এই ভেবে যদি কারো হৃদয় করুনাতে ভরে যায় তাকে ধর্ম বলে।


কিভাবে আত্মা (Atma) র উন্নতি বা অবনতি হয় ?

যদি কোন মানুষ নিজেকে পরমাত্মার অংশ তথা আত্মা (Atma) রূপে জেনে, ভগবানের প্রতি সমর্পিত হয়ে তার ভক্তি করতে থাকে তাহলে সেই আত্মার উন্নতি হয়। সেই সব আত্মা দেহ ত্যাগ করার পরে ধার্মিক ঘরে জন্ম নিয়ে থাকে। আর অধর্মী ব্যক্তির আত্মার কোন উন্নতি হয় না বরং তাদের অবনতি হয়। এবং পরমাত্মা থেকে ক্রমশ দূরে যেতে থাকে।


সমর্পনের মাহাত্ম কি ?


উপসংহার :

আজকে যে আত্মা (Atma) নিয়ে পোস্টটি আলোচনা করা হলো তা আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। আত্মা (Atma) নিয়ে কোন রকমের প্রশ্ন থাকলেও আমাকে জানাবেন, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আজকের পোস্টটি এতোটুকুই। সবাই ভালো থাকবেন। হরে কৃষ্ণ 

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.